জেগে থাকাকালীন শারীরিক ও মানসিক কার্যকলাপ ঠিক রাখার জন্য পরিমিত ঘুম প্রয়োজন। আমরা যখন ঘুমোই, তখন শরীরের বিভিন্ন অংশ বিশ্রাম নেয়। যদি ঠিকমতো ঘুম না হয়, তাহলে তার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের কার্যকলাপে। শরীরে আসে ক্লান্তি ভাব। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু কারও কাছে ঘুম জল–ভাত হলেও, অনেকের কাছেই দুঃস্বপ্ন, কিছুতেই ঘুম আসে না। শরীরকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে ডায়েটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক ভালো ঘুমের জন্য কী খাবেন আর কী খাবেন না?‌


ঘুমপাড়ানি খানাপিনা 
প্রীতিময় রায়বর্মন

কী খাবেন?‌

দুধ
দুধে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান, যা ঘুমের জন্য দারুণ উপকারি। রাতে শোবার আগে এক গ্লাস দুধ ভালো ঘুমের জন্য কার্যকরি ভূমিকা নিতে পারে।

ফল ও শাকসবজি 
মরশুমি ফল, শাকসবজি স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ভালো ঘুমেও সাহায্য করে। ফলমূল, শাকসবজিতে থাকা ভিটামিন, খনিজ ইত্যাদি ঘুমের জন্য অপরিহার্য।

রাঙা বা মিষ্টি আলু
শরীরকে স্থির বা শান্ত করার মতো দুটি উপাদান রয়েছে এতে—‌ ম্যাগনেশিয়াম এবং ফসফরাস। আমরা জানি, ঘুমানোর আগে জরুরি স্নায়ু ও মাংসপেশি শান্ত হওয়া। রাঙা আলু এই কাজে সাহায্য করে। 

ডিম
পরিমিত বা ভালো ঘুমের জন্য দরকার ভিটামিন ‘‌ডি’‌। শরীরে ভিটামিন ‘‌ডি’‌–র ঘাটতি থাকলে ঘুমের দফারফা। শোবার পর কিছুতেই ঘুম আসবে না। মস্তিষ্কের GABAergic নিউরন ঘুমে সহায়তা করে। শরীরে ভিটামিন ‘‌ডি’‌–র ঘাটতি থাকলে তা পূরণে সাহায্য করে ডিম।

আখরোট, কাঠবাদাম
আখরোট ও কাঠবাদামে থাকা ট্রিপটোফ্যান স্নায়ু ও মাংসপেশিকে স্থির বা শান্ত করে ঘুমে সহায়তা করে।

কী খাবেন না

চা, কফি
সন্ধের পর চা, কফি থেকে দূরে থাকুন। কারণ ক্যাফাইন জাতীয় পদার্থ ঘুমের শত্রু।

মিষ্টি
মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টিও কিন্তু ঘুমের শত্রু। অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি খেলে শরীরে বাড়তি উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে।

রিচ খাবার
ঝাল, তেল, মশলাযুক্ত রিচ খাবার সহজে হজম হতে চায় না। তাই রাতে রিচ খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

ভারী খাবার  
রাতে ঘুমানোর অন্তত দু থেকে তিন ঘণ্টা আগে খেয়ে নিন। তবে ভারী খাবার নয়। দুপুরে লাঞ্চে যতটা পরিমাণ খাবার খান, ডিনারে তার তুলনায় কম খাবার খান। রাতে যেহেতু হাঁটাচলা বা তেমন কোনও পরিশ্রমের কাজ থাকে না, তাই বেশি খেলে হজমে গোলমাল দেখা দিতে পারে। ফলে দেখা দিতে পারে পেটে অস্বস্তি। ফলে ঘুমের দফারফা।

সব ছবি:‌ আন্তর্জাল‌
নিবন্ধটি শুধুমাত্র সচেতনতার জন্য
কোনও ডাক্তারি পরামর্শ নয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *