চোখের যত্নে ২০–২০–২০ পদ্ধতির কথা আমরা শুনেছি। আর ওজন কমাতে রয়েছে ৩০–৩০–৩০ পদ্ধতি। বর্তমানে এই পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় ও কার্যকর
ওজন ঝরাতে
৩০–৩০–৩০
প্রীতিময় রায়বর্মন
কী এই পদ্ধতি?
ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণের জন্য দরকার তিনটি জিনিস। ১. নিয়মিত শরীরচর্চা, ২. সঠিক সময় পুষ্টিকর খাবার এবং ৩. মানসিক শান্তি। এই তিনটি বিষয়কে একত্রে বলা হচ্ছে ৩০–৩০–৩০ পদ্ধতি। চুলন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক—
১. ৩০ মিনিট শরীরচর্চা
অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে বা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত এক্সসারসাইজ বা শরীরচর্চার বিকল্প নেই। শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রমে বাড়ে শরীরের মেটাবলিজম। বার্ন হয় ক্যালরি, তৈরি হয় ইনসুলিন। শরীর থাকে ব্যস্ত। আর আমাদের কারও–ই অজানা নয় ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে দরকার শরীরকে ব্যস্ত রাখা।
ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চায় বাড়ে পেশির জোড়, কমে হার্টের অসুখের ঝুঁকি। তাই সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন ৩০ মিনিট করে শরীরচর্চা দরকার। সেটা ৩০ মিনিট হাঁটা বা দৌড়ানোও হতে পারে, আবার সাঁতার কাটা বা জিমে গিয়ে শারীরিক কসরতও হতে পারে। তবে হার্টের সমস্যা থাকলে শরীরচর্চার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
২. ঝরাতে হবে ৩০% ক্যালরি
কায়িক পরিশ্রমের অভাবের পাশাপাশি ওজন বাড়ার আরেকটি কারণ সঠিক সময় সুষম খাবার না খাওয়া। ওজন নিয়ন্ত্রণে জরুরি সঠিক খাদ্যাভ্যাস। প্রতিদিনের ডায়েটে পরিমিত মাত্রায় থাকা চাই ফাইবার, প্রোটিন ও মিনারেলস। পারলে একটি ফ্লোচার্ট বানাতে পারেন।
যেখানে থাকবে কতটা ক্যালরি গ্রহন করেছেন, আর কতটা ক্যালরি বার্ন বা খরচ করলেন। খেয়াল রাখবেন বাড়তি ক্যালরির অনুপ্রবেশ রুখতে গিয়ে শরীর যেন পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত না হয়।
৩. ৩০ মিনিট মানসিক এক্সারসাইজ
আধুনিক জীবনযাপনের সঙ্গে অতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে রয়েছে স্ট্রেস। আর এই স্ট্রেসের কারণে বাড়ছে ওবেসিটির সমস্যা, দেখা দিচ্ছে হার্টের অসুখ। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে দরকার যতটা সম্ভব স্ট্রেস–মুক্ত থাকা। স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে মেডিটেশন বা ধ্যান এবং আরও কিছু যোগব্যায়াম।
প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম মানসিক চাপ থেকে অনেকটাই রেহাই দিতে পারে। ফলে ওবেসিটির ঝুঁকি অনেকটাই কমে। ওজন নিয়ন্ত্রণ ও শরীরকে সুস্থ রাখতে শরীরচর্চা ও সুষম খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি দরকার মানসিক শান্তি বা মনকে ভালো রাখা।
তাহলে বোঝা গেল তো ৩০–৩০–৩০ পদ্ধতির গল্পটা আসলে কি?
সব ছবি: আন্তর্জাল
(নিবন্ধটি কোনও ডাক্তারি পরামর্শ নয়)
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Comments