আজ ২৪ মার্চ। বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। এবারের থিম— ‘Yes! We can end TB!’ অর্থাৎ আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি।
আজও সচেতনতার অভাব!
প্রীতিময় রায়বর্মন
১৮৮২ সালের আজকের দিনে বিজ্ঞানী রবার্ট কোচ যক্ষ্মার জন্য দায়ী জীবাণু মাইকোব্যাকটিরিয়াম টিউবারকিউলোসিস আবিষ্কার করেন। ২০১৮ সালে সারা বিশ্বে এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি এবং মারা যান ১৫ লক্ষ মানুষ। ‘যক্ষ্মা’ শব্দটা এসেছে ‘রাজক্ষয়’ থেকে। ‘ক্ষয়’ বলার কারণ যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীর শরীর খুব শীর্ণ বা রোগা হয়ে যায়।
একটা সময় এই রোগ নিয়ে ছিল অনেক কুসংস্কার। বলা হত, ‘যার হয় যক্ষ্মা, তার নেই রক্ষা।’ ছিল না তেমন কোনও পথ্যও। তবে আধুনিক চিকিৎসায় এসেছে যক্ষ্মার চিকিৎসা ও ওষুধ। তবে আজও শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবেই পুরোপুরি নির্মূল করা যায়নি যক্ষ্মাকে।
এই রোগের জন্য দায়ী মাইকোব্যাকটিরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামের জীবাণু। ৯০% ক্ষেত্রেই এই ব্যাকটিরিয়া আক্রান্ত করে ফুসফুসকে। তবে শুধু ফুসফুস নয়; কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র, প্লুরা, পরিপাকতন্ত্র ইত্যাদিও আক্রান্ত হতে পারে। এগুলোকে বলে অ–ফুসফুসীয় যক্ষ্মা। শরীরে যদি ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাহলে একই সঙ্গে ফুসফুসীয় এবং অ–ফুসফুসীয় যক্ষ্মা হানা দিতে পারে।
ফুসফুসে যক্ষ্মার প্রধান উপসর্গগুলি হল—
● তিন সপ্তাহের বেশি কাশি
● জ্বর
● কাশির সঙ্গে কফ এবং মাঝে মাঝে রক্ত বের হওয়া
● ওজন কমে যাওয়া
● বুকে ব্যথা
● দুর্বলতা
● খিদে কমে যাওয়া ইত্যাদি।
মারণ রোগ প্রতিরোধে
✔ জন্মের পর শিশুকে বিসিজি টিকা দিন।
✔ খেয়াল রাখুন বাসস্থল ও তার আশপাশ যেন পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকে।
✔ খেতে হবে পুষ্টিকর খাবারদাবার, যাতে শরীরে ইমিউনিট বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে।
✔ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হলে হাঁচি ও কাশির সময় রুমাল দিয়ে মুখ ঢাকুন। যত্রতত্র কফ, থুতু ফেলবেন না। একটি নির্দিষ্ট পাত্রে ফেলে পরে সেটাকে ফেলে মাটি চাপা দিয়ে দিন। যাতে জীবাণু ছড়াতে না পারে।
সব ছবি: আন্তর্জাল
নিবন্ধটি শুধুমাত্র সচেতনতার জন্য
কোনও ডাক্তারী পরামর্শ নয়
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Comments