আজ ১৪ মার্চ। বিশ্ব কিডনি দিবস। থিম— 'Kidney Health for All – Advancing Equitable Access to Care and Optimal Medication Practice.'
উপসর্গকে অবহেলা নয়
প্রীতিময় রায়বর্মন
বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৮৫০ মিলিয়নের বেশি মানুষ কিডনির অসুখে আক্রান্ত। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রতি দশজনে একজন ক্রনিক কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত। যে গতিতে কিডনির অসুখ বাড়ছে, তাতে ২০৪০ সালে বিশ্বে মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে পঞ্চম কারণ হয়ে উঠতে পারে কিডনির অসুখ।
কিডনির অসুখ ‘সাইলেন্ট কিলার’, তাই আগে থেকে সতর্কতা দরকার। সাধারণ মানুষকে কিডনির কাজ ও কী কী ধরনের সমস্যা কিডনিতে দেখা দিতে পারে সে সম্পর্কে সচেতন করাই বিশ্ব কিডনি দিবসের প্রধান উদ্দেশ্য। অ্যাকিউট ও ক্রনিক দু’ধরনের কিডনির অসুখের মধ্যে ক্রনিক কিডনির অসুখেই বেশির ভাগ মানুষ আক্রান্ত হন এবং যা খুব ক্ষতিকর। এই ক্রনিক অসুখ প্রতিরাধে সচেতনতা বাড়ানোই দিনটির উদ্দেশ্য।
শরীর থেকে দূষিত বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে কিডনি। কিডনির মাধ্যমে শরীরে জল ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রতিদিনকার কাজকর্ম, যেমন হাঁটা–চলা, খাওয়াদাওয়া ইত্যাদি থেকে যে মেটাবলিজম হয়, তা থেকে শরীরে প্রচুর পরিমাণ টক্সিন জমে। কিডনি ইউরিনের মাধ্যমে সেই ক্ষতিকর টক্সিন বা বর্জ্য পদার্থগুলো শরীর থেকে বের করে দেয়। প্রতিদিন প্রায় ২০০ লিটার রক্ত পরিশোধন করে কিডনি। রক্তকণিকা তৈরি করে শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে রক্তের নিয়ন্ত্রণেও কিডনির ভূমিকা রয়েছে। নিয়ন্ত্রণ করে রক্তচাপ। শরীরের সমস্ত হাড়ের গঠন ঠিক রাখতেও কিডনির ভূমিকা রয়েছে।
কিডনিকে সুস্থ রাখতে
● নিয়ন্ত্রণে রাখুন রক্তচাপ। প্রাপ্তবয়স্কদের রক্তচাপ যেন থাকে ১৩০/৮০–র নিচে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খান।
● ডায়াবেটিস যেন শরীরে থাবা না বসায়।
● বাড়তে দেবেন না শরীরের ওজন। বি এম আই যেন থাকে ২৫–এর নীচে।
● এড়িয়ে চলুন জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড। নুন বেশি না খাওয়াই ভালো।
● কিডনির অসুখে যাঁরা ইতিমধ্যে আক্রান্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে নুনের পাশাপাশি প্রোটিন জাতীয় খাবারেও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
● কিডনির সমস্যা বাড়লে পটাশিয়ামেও নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।
● ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা ছাড়তে হবে।
● ওভার দ্যা কাউন্টার ওষুধ না খাওয়াই ভালো।
● দরকার নিয়মিত শরীরচর্চা।
সব ছবি: আন্তর্জাল
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Comments