মূর্তিগুলিতে যেন রয়েছে
প্রাণের ছোঁয়া
প্রীতিময় রায়বর্মন
ইতিহাসে ফিরে যাওয়া আর না হলে জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া। ইতিহাস বইয়ের পাতায় পড়া কিছু মুহূর্তকে চোখের সামনে দেখার সুযোগ। জঙ্গলে পরে যাব। আজ আমাদের সফর টাইম মেশিনে চড়ে সেই ইতিহাসে ফিরে যাওয়া।
যাত্রাপথ: খাজুরাহো–চিত্রকূট–ঝাঁসি–ওরছা–গোয়ালিয়র
খাজুরাহো
খাজুরাহোতে পৌঁছানোর পর মনে হল যেন টাইম মেশিনে চড়ে ইতিহাসের বইয়ের পাতায় পড়া সেই চান্দেলদের রাজত্বে ফিরে গেলাম।
৯৫০ থেকে ১০৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে চান্দেল রাজত্বে খাজুরাহোতে শিল্পের মনোমুগ্ধ অলঙ্করণে ভরা মন্দিরগুলি তৈরি হয়। পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ এই তিনভাগে চান্দেল রাজপুত রাজ চন্দ্রবর্মনের আমলে শুরু হওয়া মন্দিরের সংখ্যা ছিল ৮৫টি। বহিঃশত্রুর আক্রমণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে অধিকাংশই ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন রয়েছে ২২টি।
বেলেপাথরে তৈরি মন্দিরগুলির গায়ে অপ্সরা, নর্তকী, মিথুন বা দেব–দেবীদের মূর্তিগুলিতে যেন রয়েছে প্রাণের ছোঁয়া। তাদের রূপ আর নাচের সেই ভঙ্গিনা দেখতে দেখতে এগিয়ে চললাম এ–মন্দির থেকে ও–মন্দির। খাজুরাহো তার শিল্পকলা, ভাস্কর্য, টেরাকোটার কাজে অনবদ্য মুন্সিয়ানা দেখিয়ে স্থান করে নিয়েছে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায়। প্রায় ৬০০ বছর লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা মন্দিরগুলি
১৯২৩ সালে আবিষ্কার করে এ দেশে শাসন করতে আসা ইংরেজরা। ফুলবাগিচায় পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ এই তিনভাগে মন্দিরগুলি থাকলেও পশ্চিমের মন্দিরগুলিই বিখ্যাত। পশ্চিমে মোট ১২টি মন্দির। সূর্য মন্দির, বিশ্বনাথ মন্দির, মহাদেব মন্দির, লক্ষ্মণ মন্দির, লক্ষ্মী মন্দির, কাণ্ডারীয় মন্দির, বরাহ মন্দির ইত্যাদি। পূর্বে প্রধান মন্দির শান্তিনাথ, আদিনাথ, ঘণ্টাই ও পার্শ্বনাথ জৈন মন্দির। আর দক্ষিণে দুলাদেও, চতুর্ভুজা ও বিজামণ্ডল। পাথর খোদাই করা প্রতিটি মূর্তিতেই খুঁজে পাওয়া যায় প্রাণের স্পন্দন। সুর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মন্দিরগুলিতে প্রবেশ করা যায়।
মন্দির দর্শনের পর হারিয়ে যেতে পারেন সবুজের রাজ্যে। অরণ্যে। খাজুরাহো থেকে ৩০ কিমি দূরে পান্না অভয়ারণ্য।
প্রতি সন্ধ্যায় মধ্যপ্রদেশ ট্যুরিজমের উদ্যোগে এখানে অনুষ্ঠিত হয় লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। অমিতাভ বচ্চনের গলায় হিন্দিতে এই শো–এর ব্যবস্থা আছে। ট্যুরিস্ট ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার রিজিওনাল অফিস, খাজুরাহো থেকে এই শো দেখার টিকিট পাওয়া যায়। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে আর্কিওলজিক্যাল মিউজিয়াম ও আদিবাসী লোককলা মিউজিয়াম।
উৎসব: প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ এখানে অনুষ্ঠিত হয় খাজুরাহো ডান্স ফেস্টিভ্যাল।
থাকা: মধ্যপ্রদেশ ট্যুরিজমের হোটেল ঝংকার, হোটেল পায়েল। এ ছাড়াও রয়েছে অনেক বেসরকারি হোটেল।
চিত্রকূট
পর্যটক আর ধর্মপ্রাণ মানুষ উভয়ের কাছেই চিত্রকূট আকর্ষণীয়। কথিত আছে রাম, সীতা, লক্ষ্মণ যখন ১৪ বছর বনবাসে ছিলেন তখন তাঁরা বেশিরভাগ সময়টাই এই চিত্রকূটে কাটিয়ে ছিলেন। তাই হিন্দুদের কাছে চিত্রকূট খুবই পবিত্রস্থান। মন্দাকিনী নদীর ঠিক পেছনেই এই চিত্রকুট। একেবারে মধ্যপ্রদেশ আর উত্তরপ্রদেশের সীমানা অঞ্চল। রয়েছে বেশ কিছু মন্দির, গুহা ও প্রাচীন নিদর্শন।
যা এই জায়গার সঙ্গে রামচন্দ্রের যোগাযোগের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে আজও। রয়েছে রাম ঘাট। চিত্রকূট ধামে কামাদগিরিতে দেখে আসতে পারেন ভগবান কামতানাথের মন্দির ও কামাদগিরি মাউন্টেন। রয়েছে ভারত মিলাপ স্থল। এ ছাড়া রয়েছে লক্ষ্মণ পাহাড়ি, হনুমান ধারার হনুমান মন্দির, সীতা রসোই ইত্যাদি চিত্রকূটকে বিখ্যাত করে তুলেছে।
থাকা: মধ্যপ্রদেশ ট্যুরিজমের মন্দাকিনি রিসর্ট, ট্যুরিস্ট বাংলোর পাশাপাশি রয়েছে অনেক বেসরকারি হোটেল।
ঝাঁসি
‘ঝাঁসি’ নামটা শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে শাণিত তরবারি হাতে ঘোড়া বাদলের পিঠে বসা উদ্ধত এক নারীর কথা। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সেই আপসহীন লড়াই। যা মাথা নত করতে বাধ্য করেছিল ইংরেজদের। তিনি রানী লক্ষ্মীবাঈ। আজও তাঁর স্মৃতিকে আঁকড়ে রয়েছে ঝাঁসি।
ঝাঁসি ফোর্ট: সপ্তদশ শতকে রাজা বীর সিংহ পাহাড়ের চূড়ার তৈরি করেন ঝাঁসি ফোর্ট। বুন্দেলখণ্ডের ইতিহাস ও শিল্প নিপুণতায় ভরা ১০ ফাটকের এই ফোর্টটি ভারতীয় স্থাপত্যকলার অন্যতম নিদর্শন। ১০ ফাটকের সব ক’টা এখন আর নেই। ওরছা, দাতিয়া, ঝর্না ইত্যাদি গেটগুলি এখনও রয়েছে। ফোর্টের দেওয়ালে কান পাতলে আজও শোনা যার লক্ষ্মীবাঈয়ের সঙ্গে ইংরেজদের সেই রণদামামার শব্দ।
ফোর্টের ভেতর রয়েছে প্লেজার গ্রাউন্ড, শিবমন্দির ও গণেশমন্দির। এখানে এসে সব থেকে বেশি ভালো লাগল লক্ষ্মীবাঈয়ের ব্যবহৃত কামান দুটি দেখে। ৫৭–র বিদ্রোহে ব্যবহৃত কড়ক বিজলি তোপ ও ভবানীশঙ্কর। অবশ্যই দেখতে হবে লক্ষ্মীবাঈয়ের থাকার ঘর— রানী কা মহল।
সরকারি মিউজিয়াম: চান্দেল ও গুপ্ত সাম্রাজ্যের বহু নিদর্শন রয়েছে এখানে। সবচেয়ে নজরকাড়া সেই সময়কার মুদ্রা ও ছবির সংগ্রহশালাটি। ব্রোঞ্জ আর টেরাকোটার কাজের সুন্দর শিল্পগুণের নিদর্শন রয়েছে এখানে। এ ছাড়াও রয়েছে রানী লক্ষ্মীবাঈ পার্ক, বৃন্দলাল বর্মা পার্ক, দীনদয়াল সভাঘর ইত্যাদি। দেখতেই হবে ঝাঁসি ফোর্টের মনোরম ভিউ মিউজিয়াম।
সেন্ট জুডস গির্জা: ঝাঁসির আরেকটা বিখ্যাত জায়গা সেন্ট জুডস গির্জা। সেন্ট জুডসের অস্থি রাখা আছে গির্জায় সেন্ট জুডস সমাধিতে। ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের কাছে খুবই পবিত্র এই গির্জা। অপূর্ব সুন্দর শিল্পগুণের ছাপ রয়েছে গির্জাটির নির্মাণে।
এ ছাড়াও ঘুরে আসা যায় নেলওয়ালকা পরিবারের দ্বিতীয় রঘুনাথের বানানো রানীমহল। ছবি দিয়ে সাজানো এই মহলটি।
উৎসব: ২৮ অক্টোবর সেন্ট জুডস গির্জায় হয় উৎসব। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে ৭ দিন ঝাঁসিতে চলে মেলা ও শোভাযাত্রা।
ঝাঁসি থেকে যাওয়া যায় চিরগাও। ঝাঁসি থেকে ৩০ কিমি দূরে বেতোয়া নদীর তীরে এই চিরগাও। মৈথিলি কবি শারন গুপ্তের জন্মস্থান। এখানে নদীর ধারের প্রকৃতিও খুব সুন্দর। দেখে আসা যায় ২৪ কিমি দূরে বরুয়া সাগর। এখানে রয়েছে বরুয়া সাগর লেক। এ ছাড়া এখানে বিখ্যাত জারাই–কি–মঠ, বুন্দেলখণ্ডের ঐতিহাসিক ফোর্ট।
থাকা: উত্তরপ্রদেশ ট্যুরিজমের হোটেল রাহি বীরাঙ্গনা ট্যুরিস্ট বাংলো। এ ছাড়া রয়েছে বেশ কিছু ভালো বেসরকারি হোটেল।
ওরছা
যেন এসে পড়লাম প্রাসাদ আর মন্দিরের রাজ্যে। বুন্দেল রাজত্বের রাজধানী ছিল ওরছা। ১৬–১৭ শতকে এখানে গড়ে ওঠে শিল্প নিপুণতায় ভরা প্রাসাদ আর মন্দিরগুলি। শোনা যায় দেবী বিন্দ্যবাসিনীর স্বপ্নাদেশেই নাকি রাজপুত কুমার বুন্দেলা নামকরণটি করেন। মালোয়া মালভূমিতে বুন্দেল নায়ক রুদ্রপ্রতাপ তৈরি করেন এক রাজ্য। আর তার রাজধানী হয় বেতোয়াকে ঘিরে থাকা দ্বীপ বুন্দেলা। এই
বুন্দেলা শহরটিরই ঐতিহাসিক নাম ওরছা। ১৬–১৭ শতকের বুন্দেলা রাজাদের প্রাসাদ, মন্দির আর দুর্গে ঘেরা এই ওরছা। এখানে রয়েছে রামরাজা মন্দির, চতুর্ভুজ মন্দির, লক্ষ্মী–নারায়ণ মন্দির, পুরাতত্ত্ব সংগ্রহশালা, ফুলবাগান ইত্যাদি। রামরাজা মন্দিরে ক্যামেরা আর চামড়ার কোনও জিনিস নিয়ে ঢোকা যাবে না। মন্দিরে ঢোকার মুখের তোরণ থেকে শুরু করে পুরো মন্দিরটাতেই সাদার ওপর নীলের
অপূর্ব শিল্পকর্মের ছোঁয়া। রানীর স্বপ্নাদেশে রাজা মধুকর শাহ অযোধ্যা থেকে আনেন একটি রাম মূর্তি। রামের ইচ্ছা ছিল ৭ তলা চতুর্ভুজ মন্দির। সেই মতো তৈরি হয় মন্দির। কিন্তু মন্দির তৈরির পর রাম আর প্রাসাদ ছেড়ে গেলেন না। প্রাসাদেই রয়ে গেলেন রাম, সীতা আর লক্ষ্মণ। মন্দির রইল দেবতাহীন। পরবর্তীকালে প্রাসাদের পাশাপাশি এখানেও রামের অধিষ্ঠান। এই চতুর্ভুজ মন্দিরের ওপর থেকে সব
ক’টি প্রসাদ ও দুর্গকে দেখা যায়। এখান থেকে ওরছার ভিউটা অসাধারণ। এর ঠিক উল্টো দিকে মোগলি গার্ডেন–ফুলবাগ। রয়েছে হরদৌল কা ব্যায়ঠকা। ওরছায় দেখতেই হবে সেইসময়কার দুর্গ। যেটা নাকি বন্দিশালাও। আর এখানকার অন্যতম আকর্ষণ রাজপ্রাসাদ। মণি–মুক্তো আর কাচ দিয়ে সাজানো রাজপ্রাসাদ। এর দুটো অঙ্গন। একটি নৃত্যশালা, অপরটি দেওয়ান–ই–খাস। জাহাঙ্গির যখন ওরছায়
আসেন রাজা বীরসিংহ জাহাঙ্গিরের থাকার জন্য একটি মহল তৈরি করে দেন। যা জাহাঙ্গির মহল নামে পরিচিত। ছত্রি–ঘেরা এই মহল। নিখুঁত জাফরিকাজ রয়েছে এর ঝুলন্ত বারান্দায়। দেখতে পাবেন রাই পারভিন মহল। এখানে রয়েছে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো দেখার ব্যবস্থা।
থাকা: মধ্যপ্রদেশ ট্যুরিজমের শিশমহল ও বেতোয়া রিট্রিট নামে দুটি হোটেল রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে প্রচুর বেসরকারি হোটেল।
গোয়ালিয়র
প্রথমে প্রতিহার, তার পর কাছওয়াদের হাত ঘুরে গোয়ালিয়রের শাসন ক্ষমতা আসে সিন্ধিয়াদের কাছে। রাজত্ব যত হাত বদল করেছে গোয়ালিয়র ততই সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর হয়েছে।
এখানকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা গোয়ালিয়র ফোর্ট। পাহাড়ের মাথায় থাকা ভারতের শ্রেষ্ঠ ফোর্ট এটি। ফোর্টের ভেতর পুরাতাত্ত্বিক সংগ্রহশালাটি বেশ নজরকাড়া। এ ছাড়াও রানী মৃগনয়নীর জন্য তৈরি গুজরী মহল ও মানমন্দির প্যালেসটিও দেখার মতন। জওহর প্রথার সাক্ষী নিয়ে চোখের সামনে হাজির জওহর কুণ্ড। এ ছাড়াও রয়েছে মানমন্দির, মানসিংহ মহল, সুরজ কুণ্ড, শাস–বহু মন্দির,
তেলি কি মন্দির ইত্যাদি। সন্ধেতে গোয়ালিয়র ফোর্ট যেন মায়াবী কোনও রাজ্য৷ লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। অমিতাভ বচ্চনের গলা আর পণ্ডিত যশরাজ, ভীমসেন যোশি, কুমার গন্ধর্বের সুরের মূর্ছনায় এক শ্রুতিমধুর ও নয়নাভিরাম দৃশ্য।
১৮৭৪ সালে সিন্ধিয়ারা তৈরি করেন জয়বিলাস প্রাসাদ। এখন প্রাসাদের একটি অংশে বিলাসবহুল হোটেল ও অন্য অংশে জিয়াজি রাও সিন্ধিয়া মিউজিয়াম। ৩৫টি ঘরের মিউজিয়াম। সিন্ধিয়া পরিবারের বহু স্মৃতি শিল্প, স্থাপত্য রয়েছে এখানে।
গোয়ালিয়রে ঘাউস মহম্মদ টুম্বটিও সেই সময়কার ঐশ্বর্যের সাক্ষী। রয়েছে তানসেনের সমাধি। সবুজে ঘেরা সূর্যমন্দিরও দর্শন করতে পারেন। খোস মহম্মদ মসোলিয়াম, তাঁতিয়া টোপি, ঝাঁসির রানীর স্মারক, কলাবীথিকা, গুজরীমহল, আর্কিওলজিক্যাল প্যালেস, গুজরীমহল মিউজিয়ামে রয়েছে শালভঙ্গিমায় বৃক্ষদেবীর মূর্তি। দেখে আসা যায় আমজাদ আলি খান প্রতিষ্ঠিত সরোদ ঘর মিউজিয়াম। হাতে সময় থাকলে আসতে পারেন গোয়ালিয়র চিড়িয়াখানা থাকে।
থাকা: মধ্যপ্রদেশ ট্যুরিজমের হোটেল তানসেন রেসিডেন্সি। এ ছাড়াও রয়েছে অনেক বেসরকারি হোটেল।
রুটম্যাপ
খাজুরাহো–চিত্রকূট–ঝাঁসি–ওরছা–গোয়ালিয়র বেড়ানোর জন্য প্রথমে পৌঁছতে হবে সাতনা। হাওড়া থেকে ২২৯১২ শিপ্রা এক্সপ্রেস, ১২৩২১ হাওড়া–মুম্বই মেল, শিয়ালদা থেকে রয়েছে ০৯৩১০ শিয়ালদা–ইন্দোর সাপ্তাহিক। সাতনা থেকে খাজুরাহো ১২০ কিমি। গাড়ি ভাড়া করে খাজুরাহো। সাতনা থেকে বামিঠা হয়েও খাজুরাহো যাওয়া যায়। খাজুরাহো থেকে চিত্রকুটের দূরত্ব ১৪৭ কিনি। যেতে হবে বাসে।
চিত্রকুট থেকে ট্রেনে ঝাঁসি। দূরত্ব ২৬০ কিমি। ঝাঁসি থেকে ১৮ কিমি দূরে ওরছা। বাসে বা গাড়িতে ওরছা। ওরছা থেকে গোয়ালিয়রের দূরত্ব ১১৮ কিমি। এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাওয়ার জন্য মধ্যপ্রদেশে অনলাইনে বাস বুকিংয়ের ব্যবস্থা আছে। রবিবার ও ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা–রাত ৮টা পর্যন্ত টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০–২৩৩–৭৭৭৭–এ ফোন করে বাস রুট ও বুকিং সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারেন। কলকাতা থেকে বিমানেও খাজুরাহো পৌঁছাতে পারেন।
বিশদ জানতে যোগাযোগ করুন: কলকাতায় মধ্যপ্রদেশ ট্যুরিজমের অফিসে। ঠিকানা ‘চিত্রকূট’, রুম–৬৭, ৭তম তল, ২৩০ এ, এজেসি বোস রোড, কলকাতা ৭০০ ২০০। ফোন: (০৩৩) ২২৮৩৩৫২৬। ই–মেল: mokolkata@mp.gov.in ওয়েবসাইট: www.mptourism.com এবং mpstdc.com
সব ছবি: আন্তর্জাল
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Comments