আজ ২১ জুন। বিশ্ব সঙ্গীত দিবস
গান শুনুন, ভালো থাকুন
প্রীতিময় রায়বর্মন
গান ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গান মনকে শান্ত করে। সঙ্গীত দিবসের শুরু আটের দশকে। তবে এর আগে সাতের দশকে ফ্রান্সের এক রেডিও স্টেশনে কর্মরত আমেরিকান সঙ্গীতজ্ঞ জোয়েল কোয়েন ফরাসি সরকারের কাছে বিশ্ব সঙ্গীত দিবস পালনের প্রস্তাব দেন।
১৯৮২ সালে ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রকের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, সে দেশে কমপক্ষে দুটি শিশুর মধ্যে একজন কোনও না কোনও বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারদর্শী। বিষয়টি চমকে দেয় তৎকালীন সংস্কৃতিমন্ত্রী জ্যাক ল্যাংকে। প্রস্তাব আসে সঙ্গীত দিবস পালনের। এরপর ১৯৮৫ সালের ২১ জুন প্রথমে সমগ্র ইউরোপ এবং পরবর্তীতে বিশ্বে সঙ্গীত দিবস পালন শুরু হয়। আনন্দ–দুঃখ, হাসি–কান্না প্রকাশের এক অনন্য মাধ্যম সঙ্গীত। সঙ্গীতের সাত সুরের মূর্ছনা মুগ্ধ করে শ্রোতাকে।
আমাদের জীবনে গানের প্রয়োজনীতা কোথায়?
❃ ছোট থেকে বড়ো, সবারই মানসিক চাপ বা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে গান।
❃ দূর করে একাকিত্ব।
❃ বর্তমানে মনোবিদরা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্ব দিচ্ছেন মিউজিক থেরাপির ওপর।
❃ গবেষণায় দেখা গেছে, গান শোনার সময় মস্তিষ্কে আলফা ও থিটা তরঙ্গ উৎপন্ন হয়, যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। থিটা তরঙ্গ মস্তিষ্ককে শান্ত করে প্রশান্তি আনে, যা মনঃসংযোগে সাহায্য করে।
❃ গান শুনলে বাড়ে ফিল গুড হরমোন, যা স্মৃতিশক্তিকে ভালো রাখে।
❃ গান কর্টিসলের (স্ট্রেস হরমোন) মাত্রা কমাতে সাহায্য করে মাথা হালকা করে, ফলে বোঝার ও বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ে।
❃ সঙ্গীতের ছন্দতাল কোনও কিছুতে মনোনিবেশ এবং ভাবনা–চিন্তাকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করে।
❃ গবেষকেরা বলছেন, আমাদের মস্তিষ্ক ছন্দে চলে। দেখা গেছে, বেশ কিছু কাজ করার আগে বা সমস্যা সমাধানের আগে মোজার্ট শুনলে সেই কাজ আরও নিপুণভাবে করা যায়।
❃ এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, মিউজিক থেরাপি ৮–১৬ বছর বয়সীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, স্ট্রেস দূর করা এবং তাদের প্রাণোচ্ছল রাখতে সাহায্য করেছে।
সব ছবি: আন্তর্জাল
(নিবন্ধটি কোনও ডাক্তারী পরামর্শ নয়)
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Comments