আজ ৮ মার্চ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এবারের থিম— ‘‌DigitALL: Innovation and technology for gender equality’‌। অর্থাৎ বিজ্ঞান, প্রযুক্তিক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা


আন্তর্জাতিক নারী দিবস
প্রীতিময় রায়বর্মন

নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। অনেকের মতে, নারী–পুরুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব। রাজনীতি থেকে বিচারবিভাগ, প্রশাসন থেকে শিক্ষাজগৎ, চিকিৎসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়া— সবেতেই নারীরা দিচ্ছেন তাঁদের যোগ্যতার প্রমাণ।

তবুও অনেক ক্ষেত্রেই থেকে গেছে বৈষম্য। তাই হয়তো ২০১৭ সালে দিনটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছিলেন, ‘‌নারীর অধিকার হচ্ছে মানবাধিকার।’‌ 

১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ, নিউ ইয়র্কের সুতো কারখানার একদল শ্রমজীবী নারী মজুরিবৈষম্য, কাজের নির্দিষ্ট সময় এবং কর্মক্ষেত্রে অমানবিক পরিবেশের প্রতিবাদে পথে নামলে, মালিকপক্ষ শুরু করে তাঁদের ওপর দমন–পীড়ন। নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯০৮ সালে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে নিউ ইয়র্কের নারী সংগঠন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট আয়োজন করে নারী সমাবেশ। এটাই ছিল সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন।

জার্মান রাজনীতিবিদের পাশাপাশি ক্লারা ছিলেন সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন। এরপর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। প্রতিনিধিত্ব করেন ১৭টি দেশের ১০০ জন নারী। এখানেই ক্লারা প্রস্তাব দেন প্রতি বছর ৮ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’‌ হিসেবে পালনের এবং সিদ্ধান্ত হয় পরের বছর অর্থাৎ ১৯১১ সাল থেকে দিনটি নারীদের সম–অধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হবে।

অনেক পথ অতিক্রমের পর ১৯৭৫ সালে আসে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এরপর থেকেই সারা বিশ্বে দিনটি ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’‌ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

সব ছবি: আন্তর্জাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *