শীতের সকালেও ঠান্ডা জলে স্নান!
প্রীতিময় রায়বর্মন
তাপমাত্রার পারদ কমছে। গুটি গুটি পায়ে আসছে শীত। আর শীত পড়তে না পড়তেই অনেকেই শুরু করে দেন গরম জলে স্নান। আবার কেউ তো শীতে দীর্ঘদিন স্নান না করেই কাটান! শীতকাতুরে অনেকেই আছেন যাঁরা শুধু শীতেই নয়, বছরের কোনও সময় বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রার পারদ একটু কমলেই গরম জলে স্নান করেন! তবে শরীরকে চাঙ্গা ও তরতাজা রাখতে চাইলে ঠান্ডা জলে স্নানের বিকল্প নেই, সেটা শীতকাল হোক বা গরমকাল। শুধু তাই নয় ঠান্ডা জলে স্নানের উপকার অনেক—
শরীর থাকে তরতাজা
ত্বকের জন্য ভালো ঠান্ডা জল। শরীরে যে কোনও প্রদাহ উপশমে সহায়তা করে ঠান্ডা জল। ফলে শরীর থাকে বেশ তরতাজা। দীর্ঘক্ষণ কাজের পরেও শরীরে আসে না ক্লান্তি। দিনের শুরুতে আর দিনের ব্যস্ততার শেষে বাড়ি ফিরে ঠান্ডা জলে স্নান শরীরকে রাখে ফুরফুরে আর চাঙ্গা।
উষ্ণতার জন্য
আর জানেন কী, শীতে শরীর গরম রাখতে গরম জলের চেয়ে ঠান্ডা জল বেশি কার্যকরি। কারণ ঠান্ডা জলের সংস্পর্শে সক্রিয় হয়ে ওঠে শরীরের ব্রাউন অ্যাডিপোজ টিস্যুগুলো। এই টিস্যুগুলো শরীরকে উষ্ণ রাখতে ও শীতে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বাড়ায় সহ্যক্ষমতা
কনকনে ঠান্ডায় ঠান্ডা জলে স্নানে বাড়ে সহ্যক্ষমতা। ফলে ব্যথা–বেদনায় শরীরে বাড়ে সহ্যক্ষমতা। আর রক্ত সঞ্চালন বাড়াতেও ঠান্ডা জলের ভূমিকা রয়েছে। ভালো হয় পেশি ও গাঁটের সংযোগস্থলে রক্ত সঞ্চালন।
সর্দি, কাশি থাকে দূরে
শীতের খুব কমন সমস্যা সর্দি, কাশি। জানেন তো, সর্দি, কাশি থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে ঠান্ডা জল! এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত ঠান্ডা জলে স্নান করে, বিশেষত শীতে, তাঁদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ২৯ শতাংশ পর্যন্ত কম, যাঁরা গরম জলে স্নান করে তাদের তুলনায়।
ভালো থাকে চুল
গরম জল চুলের জন্য ক্ষতিকর। গরম জল চুলে থাকা প্রাকৃতিক তেলকে নষ্ট করে চুলকে করে দেয় রুক্ষ ও শুষ্ক। ঠান্ডা জলে স্নান করলে চুলের স্বাভাবিক তৈলাক্ততা বজায় থাকে। ফলে শীতেও চুল থাকে উজ্জ্বল, স্বাভাবিক। আর ঠান্ডা জলে সুস্থ থাকে কিউটিকলও।
কমে খুশকি
খুশকির হাত থেকে বাঁচতে চাইলে স্নান করতে হবে ঠান্ডা জলে। ঠান্ডা জল খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। সোরিয়াসিস বা একজিমার সমস্যা উপশমেও উপকারি ঠান্ডা জল।
তবে...
সিওপিডির মতো ফুসফুসের ক্রনিক অসুখ, বাতের ব্যথা ইত্যাদিতে ইষদুষ্ণ জলে স্নানের পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া শরীরে কোনও ক্রনিক অসুখ যেমন হার্টের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলুন।
সব ছবি: আন্তর্জাল
(নিবন্ধটি কোনও ডাক্তারি পরামর্শ নয়)
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Comments