ইদা স্কুডদের
ভেলোর ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ
ডঃ সঞ্জীব রায়
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক বিদেশিনী মহিলারা এ দেশে এসে নানাভাবে আমাদেরকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন ভারতে এসেছিলেন বৈবাহিক সূত্রে আবার কেউ কেউ বা দেশের মানুষজনকে ভালোবেসে আর নিজের দেশে ফেরত যেতে পারেননি। এমনই একজন ডাঃ ইদা স্কুডদের। তাঁকে নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। বাস্তব অর্থে একজন মহিয়সী নারীকে জনসমক্ষে উপস্থাপনের এক সৎ প্রয়াস মাত্র।
ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়া থেকেই বিদেশী ডাক্তারদের ক্রিশ্চিয়ান মিশনারীর দৌলতে সেবার উদ্দেশ্যে ভারতবর্ষে আগমন শুরু হয়। ডাঃ জন স্কুডদের (সিনিয়ার) নিঃসন্দেহে এই ব্যাপারে একজন অগ্রগণ্য ব্যক্তিত্ব। তিনিই ভারতে পদার্পন করা সর্বপ্রথম আমেরিকার ডাক্তার। তাঁর পদাঙ্গ অনুসরণ করে তাঁর ছেলেও (ডাঃ জন জুনিয়ার) চিকিৎসক হয়ে ভারতবর্ষকে নিজের দেশ মনে করে সেবায় আত্মনিয়োগ করেন।
১৮৭০ সালের ৯ ডিসেম্বরের সকাল। তামিলনাড়ুর অন্তর্গত রানিপেতের সেই ক্রিশ্চিয়ান মিশনারী পরিবারে এক খুশির বার্তা এল। স্কুডদের পরিবারে আগমন ঘটল এক নতুন অতিথির। বাবা জন এবং মা সোভিয়া নবজাতকের নাম রাখলেন ইদা। পুরো নাম ইদা সোফিয়া স্কুডদের। ইদা হলেন তাদের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান এবং একমাত্র কন্যা। পরিবারে প্রথম কন্যাসন্তান আসায় সকলের মধ্যেই এক আনন্দের বাতাবরণ তৈরি হয়। ইদা একটু বড় হবার সঙ্গে সঙ্গে অক্ষরজ্ঞান-সহ প্রাথমিক শিক্ষার হাতখড়ি বাবা-মার কাছেই। ইদার বাপ ঠাকুরদা সহ গোটা পরিবারই ছিল ধার্মিক এবং তৎকালীন চার্চ কেন্দ্রিক সভ্যতার একনিষ্ঠ সেবক।
১৮৭৮ সাল অর্থাৎ ইদা তখন বছর আষ্টেকের মেয়ে। সেই বছর মাদ্রাজে কলেরা ভয়ঙ্কর মহামারীর আকারে দেখা দেয়। স্বভাবতই স্কুড দম্পতি বাচ্চাদের নিয়ে বিচলিত হয়ে পড়েন। অত্যন্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও খানিক বাধ্য হয়েই তারা ভারত ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ভেবেছিলেন ফিরতে দেরি হলে বড়জোড় বছরখানেক দেরি হবে। ভারতে ফিরতে স্কুড দম্পতির বড্ড বেশি সময় লেগে যায়। পাঁচবছর পর দম্পতি ভারতে ফিরে এলেও ইদাকে আমেরিকায় পিসির কাছে পড়াশোনার জন্যে রেখে আসা হয়।
ইদা আমেরিকায় ম্যাসাচুসেটস-এ নর্থফিল্ড শিক্ষালয়তে পড়া শুরু করে। ইদা ছোট থেকেই পড়াশোনায় মন্দ ছিল না, তবে অল্প বয়স থেকেই কৌতুক অভিনয় তাকে আকর্ষণ করত, যেমন নানাধরনের মুখভঙ্গি, অন্যের গলা নকল করা ইত্যাদি। এই বিদ্যাতে ক্রমশঃ তার খ্যাতি বাড়তে থাকে। বাবার ইচ্ছা ছিল মেয়ে ডাক্তারি করুক, কিন্তু মেয়ে মোটেই তা চায়নি। মেয়ে চেয়েছিল নর্থফিল্ড পর্ব শেষ হওয়ামাত্র সে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়াবে এবং মার্কিন দেশেই বসবাস করবে। তবে বহুক্ষেত্রেই মানুষভাবে এক আর হয় আরেক। এক্ষেত্রেও তাই হল। ইদার স্কুলে পড়া শেষে এমন এক কাণ্ড ঘটে যা কিনা তার জীবনের গতিপ্রকৃতিকেই সম্পূর্ণ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়।
১৮৯০ সাল। ইদা তখন ২০ বছরের যুবতী। ভারত থেকে খবর এল মা অসুস্থ। বাবা ডাক্তারির ব্যস্ততায় মা-কে ঠিক করে সময় দিতে পারছেন না। বাবা ইদাকে ভারতে আসার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ রাখলেন। ইদা পত্রপাঠ ভারতে পাড়ি দেবার ব্যবস্থা করে। ভারতে আসার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই ইদা একরাতে অত্যন্ত হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। ইদার চোখের সামনেই ঘটে তিন তিনজন মহিলার মৃত্যু। তিনজন মহিলাই বাচ্চা প্রসবের সময় মারা যান। এহেন মৃত্যুর কারণ হল মৃতের পরিবাররা কোনো পুরুষ ডাক্তারের সাহায্য নিতে রাজি হননি। ডাঃ জন বারংবার পরিবারের লোকজনদের হাতে পায়ে ধরে বোঝাবার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তারা কোনো কথা শোনেন নি। দুর্ভাগ্যবশত সেই গ্রামে কোনো মহিলা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ তো দূরের কথা কোনো মহিলা ডাক্তারও আশেপাশে ছিল না। অগত্যা উপয়ান্তর না দেখে ডাঃ জন সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ ইদাকে পাঠিয়েছিলেন কিন্তু সেই বেচারির সেই মর্মস্পর্শী ঘটনাকে প্রত্যক্ষ করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
চোখের সামনে মর্মান্তিক ঘটনা দেখার পর ধার্মিক ইদা ক্রমশ বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে ঈশ্বর হয়তো তাকে ডাক্তার বানাতে চাইছেন বলেই এমন ঘটনার সাক্ষী রাখলেন। ইদা ভবিষ্যৎ চিন্তাধারার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় যে সে ডাক্তার হবে এবং এই অসহায় মহিলাদের পাশে দাঁড়াবে। ইদা নিউইয়র্কের কর্নেল মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি কোর্সে ভর্তির পরীক্ষা দেয়। তৎকালিন সময় নিউইয়র্কের কর্ণেল মেডিক্যাল কলেজের ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং-এর বিশ্বজোড়া সুনাম ছিল। ভর্তির পরীক্ষায় ইদা সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়ে সহজেই মেডিক্যাল কলেজে পড়া শুরু করে। সেটি ছিল ১৮৯৫ সাল। ১৮৯৯ সালে ইদা বিশেষ কৃতিত্বের সঙ্গে ডাক্তারি পড়া শেষ করে। ডাক্তারি পড়াকালীন ইদার স্বপ্ন ছিল যাতে সে ভেলোরে একটি হাসপাতাল গড়ে তুলতে পারে। সেই উদ্দেশ্যে সে নানাভাবে মার্কিন মুলুক থেকে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে গেছে। সেই সময় খানিক অপ্রত্যাশিতভাবেই ইদা মিঃ শেলের (নিউইয়র্কে বসবাসকারী একজন ব্যাঙ্কার) কাছ থেকে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর স্মরণে ১০ হাজার ডলার ইদাকে দান করেন। মিঃ শেলের টাকা দেবার মূল শর্ত ছিল যে তার দেয় টাকা যাতে সৎ উদ্দেশ্যে ব্যয় করা হয়।
ইদার ডাক্তার হয়ে ভারতে আসার কয়েকমাসের মধ্যেই তার বাবা ডাঃ জন জুনিয়র অমৃতলোকে গমন করেন। বাবার হঠাৎ মৃত্যুতে ইদা প্রচণ্ড অসুবিধায় পড়েন কারণ সদ্য পাশ করা ডাক্তারের হাতে-কলমে শেখার মতন অনেক কিছুই বাকি থাকে। প্রিয় ডাক্তারবাবুর অকাল প্রয়াণে ডাক্তারবাবুর পরিচিত রোগীরাও তাঁর পরিবর্তে তাঁর মেয়েকে মেনে নিতে প্রথম দিকে ইতঃস্তত করেছিল। বাবার মৃত্যুর পরে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই ইদা মাকে সহকারী বানিয়ে রোগী দেখা শুরু করে। তিনি ক্রমশ সকলের কাছে অ্যান্ট ইদা নামে পরিচিতি লাভ করতে থাকেন। প্রথমদিকে তার লক্ষ্য ছিল মূলত শিশু ও মহিলাদের চিকিৎসা। তিনি শুরুটা করেছিলেন একেবারে ছোট্ট করে। গরুর গাড়িতে তৈরি করা এক শয্যা বিশিষ্ট ডিসপেনসারী তৈরি করে তিনি গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে বেড়িয়েছিলেন।
১৯০২ সালে ইদা আমেরিকা থেকে প্রাপ্ত সাহায্যের ভরসায় চল্লিশ শয্যা বিশিষ্ট একটি মেডিক্যাল ইউনিট ও তৎসঙ্গে মহিলাদের উপযুক্ত একটি ক্লিনিক চালু করেন। এটি ছিল মাদ্রাজ থেকে ৭৫ মাইল দূরবর্তী ভেলোরে। মেডিক্যাল ইউনিটের নামকরণ করা হয় মেরী ট্যাবার শেল মেমোরিয়াল হাসপাতাল। যতদিন এগিয়েছে ইদা ততই দক্ষিণ ভারতীয় মহিলাদের আপন করে নিয়েছেন। তাদের সবাইকে আধুনিক চিকিৎসার পরিষেবা দেবার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে সবাই এক ছাদের নীচে থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহন করেছে— যা একসময় কল্পনা করা যেত না। শুধুমাত্র তাঁকে দেখে রক্ষণশীল মহিলারাও নার্সিং পরিষেবাকে সানন্দে গ্রহন করেছে। ইদা সেবার জন্য নিজের ব্যক্তিগত জীবনে ভালো লাগা সবই বিসর্জন দিয়েছিলেন। বৈবাহিক জীবনে তিনি আর প্রবেশ করলেন না। তিনি সর্বদাই মেয়েদেরকে বলতেন যে তোমরা যে কাজটাই করো সেটিকে ভালোবাসা দিয়ে করো।
গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাজ করতে গিয়ে ইদা উপলব্ধি করেছিলেন যে তাঁকে সাহায্য করার মতন কিছু শিক্ষিত সেবিকার (নার্স) একান্তই প্রয়োজন। সেই উদ্দেশ্যে ১৯০৯ সাল থেকে তিনি নার্সদের ট্রেনিং কর্মসূচী চালু করেন। ১৯১৮ সালে মূলত তাঁর উদ্দ্যোগে মিশনারী মেডিক্যাল স্কুল ফর ওম্যান চালু হয়। সেখান থেকে Licensed Medical Practitioner (LMP) কোর্স করানো হত। এই মেডিক্যাল স্কুল খোলা নিয়ে ইদাকে কম টিটকিরি শুনতে হয়নি। অনেক পণ্ডিত এমনও মতামত দিয়েছিলেন যে মেডিক্যাল স্কুলে পড়তে ইচ্ছুক এমন আবেদনকারী ছাত্রীর সংখ্যা কোনোমতেই ৩/৪ জনের বেশি হবে না। সকলের আশঙ্কাকে ভ্রান্ত প্রমাণ করে স্কুল খোলার প্রথম বছরেই ১৫১ জনের আবেদন জমা পড়ে। শীঘ্রই এর নামকরণ করা হল 'ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ'। প্রথম দিকে বেশ কয়েক বছর আমেরিকার চার্চ সমূহের সম্মিলিত অনুদানেই এটি চলতো। ১৯৪২ সাল থেকে এখানে এমবিবিএস ডিগ্রি কোর্স চালু হয়। ১৯৪৭ সাল থেকে ছেলেদেরও ভর্তির অনুমোদন মেলে।
এখন যে ক্যাম্পাসটি দেখা যায় সেটি ১৯২৮ সালে ২০০ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছিল। সেই বছরই স্বয়ং মহাত্মা গান্ধী এসে নতুন ভবনের দ্বার উদঘাটন করেছিলেন। এই ক্যাম্পাস গড়ে তোলার সময় ইদাকে একাধিকবার আমেরিকা গিয়ে অর্থসংগ্রহের চেষ্টা করতে দেখা যায়। প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন যে ইদাকে শুধুমাত্র হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা বলে পরিচয় দিলে সেটাই যথেষ্ট হয় না। ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের যে পথ শিবজ্ঞানে জীব সেবা তাহা যথার্থভাবে ইদার কার্যকলাপের মাধ্যমেই প্রতিফলিত হয়েছিল। তিনি প্রকৃতপক্ষে রোগী সেবাকে ঈশ্বরের সেবার মতন করে দেখতেন। এমন কি হাসপাতাল থেকে অবসর নেবার পরেও তিনি হাসপাতালের জন্য সময় দিতেন, রোগীদের অভাব অভিযোগের কথা গুরুত্ব দিয়েই শুনতেন।
ডাঃ ইদা স্কুডদেরকে শুধুমাত্র দক্ষিণ ভারতের মানুষ চিনত এমনটা নয়। তিনি সারা ভারতবর্ষেই জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি তার জীবনের একটা বিরাট সময় ভেলোরে অতিবাহিত করেছেন। ছুটি পেলে বা গরমে হাঁপিয়ে উঠলে তিনি কোদাইকানালে তাঁর একান্ত নিজস্ব বাংলোতে চলে যেতেন। ১৯৫২ সালে বিশ্বের ৫ জন শ্রেষ্ঠ মহিলা ডাক্তারের মধ্যে তাঁকে বিবেচনা করা হয়। তিনি কী পরিমাণ জনপ্রিয় ছিলেন তা বোঝাবার জন্য একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। ১৯৫৩ সাল, তখন তাঁর বয়স ৮০ পেরিয়ে গিয়েছে। জনপ্রিয়তার দৌলতে তাঁর কাছে প্রত্যহ প্রচুর চিঠিপত্র আসত। চিঠিপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে দেখা গেল যে একটি চিঠিতে ঠিকানা লেখা আগে ‘DR Ida India’। বলা বাহুল্য সে চিঠিটা বিদেশ থেকে আসা। এমন অসম্পূর্ণ ঠিকানায় সঠিক প্রাপকের হাতে চিঠি পৌঁছানো বোধকরি শুধুমাত্র তার ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়েছিল।
১৯৬০ সালের ২৩ মে ৮৯ বছর বয়সে নিজের পছন্দের বাংলোতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ইভা। ২০০০ সালের আগস্ট মাসের ১২ তারিখে ভারতবর্ষের ডাক ও তার বিভাগ ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ইদার ছবি সহ একটি বিশেষ ডাকটিকিট বার করে। প্রবন্ধ শেষ করার আগে বলা প্রয়োজন যে ইদা ভেলোরে থাকাকালীন তার ভাইঝি (ইদা বেলি সোফিয়া স্কুডার বা সংক্ষেপে ইদা বি) তাঁর পিসির পদাঙ্ক অনুসরণ করে ডাক্তার হয়ে ভেলোরে পাকাপাকিভাবে চলে আসেন। তিনিও বাস্তবিকই ত্যাগী মহিলা ছিলেন। তাঁর আত্মজীবনী থেকে জানা যায় যে তিনি ছিলেন একজন শিশু বিশেষজ্ঞ। ভেলোরে প্রয়োজন ছিল একজন রেডিওলজিস্ট। ভাইঝিও উপলব্ধি করেন প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনটাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। তিনি ব্যক্তিগত পছন্দকে দূরে রেখে রেডিওলজি নিয়ে পড়াশোনা করে ব্রিটেন থেকে ডিগ্রী নিয়ে এসে ভেলোরে বহুদিন সেবা করেছিলেন। ১৯৭০ সালে তাঁর ৭০ বছর বয়সে বেলি পাকাপাকিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন। চলে যাবার সময় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যে আমি যারপর নাই আনন্দিত ও গর্বিত যে ভেলোর ক্রিশ্চিয়ান কলেজ নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে আর তাদের স্কুডদের বা পশ্চিমী সাহায্যের প্রয়োজন নেই।’
বেলি হয়তো যথার্থই বলেছেন। স্কুডদের যত্ন ও সেবায় গঠিত ক্রিশ্চিয়ান মিশনারী কলেজ আজ শুধুমাত্র দক্ষিণ ভারতেরই নয়, সমগ্র ভারতেরই চিকিৎসা পরিষেবায় অগ্রগণ্য হিসাবে বিরাজ করছে।
সব ছবি: আন্তর্জাল
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Comments